ক্রমপর্যায়ে ইউএক্সের প্রভাবকসমূহ

ইউএক্স শুধু বাটন বা অয়্যারফ্রেম* থেকে অনেক বেশি কিছু । ডিজাইনের বা স্ক্রিণে যেসব জিনিষ দেখা যায় তা সমূদ্রে ভাসা বরফখন্ডের উপরের অংশের সাথে তুলনা করা যায় । মাত্র ১০%-২০% দেখা যায়। আর যে অংশগুলো না হলেই নয় বা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা’ বরফের পানির নীচের অংশের মতো, দেখা যায় না বললেই চলে ।

 

ইউএক্স ডিজাইনার হিসেবে তোমার কাজ হলো ব্যবহারকারীর জন্য “উপকারিতা বা ভ্যালিউ তৈরী”** করা । ইউএক্স পদ্ধতির কিছু অংশ বেশি ভ্যালিউ তৈরী করে আবার অনেক অংশ আছে যেগুলো খুব বেশি ভ্যালুউ তৈরী করে না । তাই তুমি যে পদ্ধতিতে সময় ব্যায় করছ তা ভেবে চিন্তে কর । পরবর্তী অধ্যায়গুলোতে তুমি বিভিন্ন ধাপ সম্পর্কে জানতে পারবে । এখন তুমি শুধু এইটুকুই জেনে রাখ যে, ক্রমপর্যায়ের বা পিরামিডের সবচেয়ে নিচের বা বড় স্তরটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । এই ধাপটি অগ্রাহ্য করলে তোমার প্রোডাক্ট সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে । এবং এ ধাপের জিনিষগুলো প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে । পিরামিডের উপরের দিকের ছোট ছোট স্তুরগুলো, এগুলোতে তুমি যতই সময় আর শ্রম দাও না কেন খুব বেশি ভেলিউ বা উপকারিতা যোগ করে না । এবং এগুলোই সাধারণত দেখা যায় ।

chapter-6

*Wireframes – একটি ডিজাইনের খুবই প্রাথমিক স্তরের চিত্র । সাধরণত কাগজে হাতে চিত্র এঁকে এঁকে অয়্যারফ্রেম তৈরী করা হয় যাতে খবু সহজে, কম খরচে, যখন-তখন, যেখানে-সেখানে বার বার তৈরী করা য়ায় । এর উদ্দেশ্য হলো কোন ডিজাইনের অনেকগুলো আইডিয়াকে তাড়াতাড়ি তৈরী করে পরীক্ষা করা । পরীক্ষার পর পরই যাতে নতুন করে দ্রুত আরেকটি উন্নত সমাধান করা যায় সে ব্যবস্থা করা । যদিও ইদানিং অনেক সফটওয়্যারের মাধ্যমেও তা’ করা যায় ।
**Value – উপকারিতা; মূল্য; দাম ।

I would LOVE to share at...
Email this to someoneShare on FacebookTweet about this on TwitterShare on LinkedInShare on Google+Share on TumblrShare on RedditBuffer this page