এ ধরণের সাক্ষাৎকার নেয়া হয় সাধারণত ব্যবহারকারীর বাড়ীতে বা যেখানে যে অবস্থায় ব্যবহার করা হবে ঠিক সে জায়গায় । বর্তমান বা ভবিষ্যতের কোন ফিচার নিয়ে ১-২ ঘন্টা ব্যাপী স্থায়ী হয় এ সাক্ষাৎকার । উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, আমি কৃষকদের একটি মোবাইল সেবা নিয়ে সাক্ষৎকার নিয়েছিলাম তাদের বাড়িতে বা জমিতে বসে ।
এ ধরণের সাক্ষাৎকারের উদ্দেশ্য হলো, সম্পৃক্ত ব্যক্তির জীবন,সিদ্ধান্ত নেয়ার পদ্ধতি এবং বাধাসমূহ সম্পর্কে যতটা সম্ভব গভীরভাবে জানা এবং বুঝা । সাধারণত দুই কারণে সাক্ষাৎকার নেয়া হয়: প্রথমত, মানুষ কি কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এবং সেগুলো কিভাবে সমাধান করছে তা থেকে অনুপ্রাণিত হওয়া; দ্বিতীয়ত, তার আবেগ-অনুভূতির সাথে একাত্ম হওয়া বা এ্যমপেথি তৈরী করা ।
তোমার উদ্দেশ্য হলো তাদের চোখে পৃথিবীকে দেখা ।
সাক্ষাৎকারের ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী আর প্রদানকারীর অনুপাত ২:১ বা সর্ব্বোচ্চ ৩:১ হওয়া উচিত । এর বেশি হলে প্রদানকারী বিচলিত অনুভব করতে পারে এবং সে তোমার সাথে সহজ হয়ে কথা বলতে বা সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী করতে ব্যর্থ হতে পারে । ফলে তার থেকে সঠিক ও প্রয়োজনীয় আশানুরুপ তথ্য নাও পাওয়া যেতে পারে ।
সাক্ষাৎকার হলো কথোপকথন-তুমি অবশ্যই আগে থেকে একটি প্রশ্নমালা তৈরী করে নিয়ে যাবে । “ডিসকাশন গাইড” তৈরী করবে । সেখানে কোন বিষয়ে কতক্ষণ কথা বলবে তার উল্লেখ থাকবে । তোমার সব প্রশ্ন বা আলোচনার বিষয় যৌক্তিক আকারে একটার পর একটা থাকবে । হঠাৎ করে আলোচনার বিষয় যাতে সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে চলে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখবে ।
ছবি: Win Miaki Ltd.