তোমার ডিজাইন ব্যবহার করার সময় ব্যবহারকারীর মনে যা যা ঘটে বা ঘটতে পারে তার সবই খুব গুরুত্বপূর্ণ । শুধু তা’ই নয়, ব্যবহারের আগে এবং পরে যা ঘটে তাও খুব গুরুত্বপূর্ণ
অধৈর্য হইওনা! এখন আপাতত মনস্তত্ত্বর খুব প্রাথমিক কিছু ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করি । খুব অল্প সময় নিব । প্রমিজ ।
প্রেমের মনস্তত্ত্ব, ভোগ্যপণ্য ব্যবহারকারীর মনস্তত্ত্ব, অথবা বাথরুম মনস্তত্ত্ব, যা-ই বল না কেন সেই একই মস্তিস্ক নিয়েই আমরা কথা বলছি ।
এটাতে আলাদা করে “ব্যবহারকারী” অংশ বলে কিছু নেই ।
ইউএক্স ডিজাইন মস্তিষ্ককে বেশ ভাল ভাবেই প্রভাবিত করতে পারে । আর সেটাই তুমি শিখতে যাচ্ছ: ডিজাইনের দৃষ্টিকোণ থেকে তোমার মস্তিষ্কের কার্য পদ্ধতি । আমরা যা শিখব তা’ হাতে-কলমে শেখার চেষ্টা করব । গুরুত্বপূর্ণ না হলে ইতিহাস চর্বণের ধারে কাছেও যাব না । দার্শনিক কোন কিছু তো নেই-ই এখানে । সিগমুন্ড ফ্রয়েড আমাদের ত্রি-সীমানায় ঘেষতে পারবে না । কারণ গাঁজা খুব একটা স্বাস্থ্যকর বা গ্রহণযোগ্য বিষয় না আমাদের জন্য ।
শুধু সেই সব বিষয় নিয়েই কথা বলব যা আমরা আমাদের কাজে ব্যবহার করতে পারমনস্তত্ত্ব জানা প্রয়োজনীয় কসাফ কথা: মনস্তত্ত্ব না জানলে তুমি ইউএক্স ডিজাইনার হতে পারবে না । সে-রা-রা-রাম, রকস্টার হওয়া তো পরের কথা! শর্ত আগেই বলে দিলাম । পরে কপাল চাপড়িও না ।
ইউএক্স হলো এমন একটি প্রয়োগিক বিদ্যা যা সমস্যা সমাধানের সুশৃঙ্খল পদ্ধতি প্রয়োগ করে অনেকগুলো সম্ভাবনাময় সমাধান থেকে সবচেয়ে উপযুক্ত আর সেরা সমাধানটি বাস্তবে রূপান্তর করে । মানে হলো, নিজে থেকেই ব্যবহারকারী যাতে অনুভব করে, চিন্তা করে, এবং কাজটি করে সেটা নিশ্চিত করা এবং উদ্বুদ্ধ করা । ফলে ব্যবহারকারীর অনুভূতি, তাদের চিন্তা ধারণা, এবং কি করলে কাজটি অনায়াসে করবে তা যত বেশি বেশি জানবে তুমি ততই কাজে সাফল্য পাবে এবং ভাল ডিজাইনার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করবে । ইউ উইল রক বেবি!
মনস্তত্ত্ব বুঝলে তুমি বুঝতে পারবে মানুষ কেন একে অপরের সাথে শেয়ার করে ( গার্লফ্রেন্ডের দেয়া ছাগলের ছবির শেয়ার দিয়েছ কেন তা’ও বুঝতে পারবে) । অথবা কেন তারা সব সময় সবচেয়ে সস্তা অপশনিটি* বাছাই করে না? অথবা মেরে দেয়া বস্তা পঁচা ডিজাইন হওয়া সত্ত্বেও কেন ড্রিবলে ২০০০ লাইক পায়? হুম, এ সবই সম্ভব বাস্তব জীবনে !
উত্তরগুলো জানলে তুমি সত্যিই আশ্চর্য হবে । তোমার ইনটিউশন বা সহজজ্ঞান সব সময়ই তোমার সাথে মিরজাফরী করে, আমার সাথে, যদিও সবার সাথেই করে । (এটা সম্বন্ধে পরবর্তী একটা অধ্যায়ে আমরা আরো জানব) এবং অনেক সময় একই ডিজাইন একেক জনের কাছে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন লাগে । তুমি এ ব্যাপারেও জানতে পারবে । ধৈর্য্য বৎস ধৈর্য্য । মাঝে মাঝে কোন কিছু তোমার কাছে একান্তই ব্যক্তিগত মনে হলেও আসলে সবার জন্যই তা প্রযোয্য । যেমন, নতুন ক্র্যশকে সব সময়ই টম ক্রুজের মতো হ্যান্ডসাম বা ঐশ্বরিয়া রায়ের মতো সুন্দরী মনে হয় । গায়ের রং, চেহারা যাই হোক না কেন । হলোই বা তার মাথার অর্ধেক চুল পাকা! এসব বিষয়েও আমরা পরবর্তীতে কোন এক অধ্যায়ে জানতে পারব (যদি ততদিন লেখার ইচ্ছা থাকে) !
* Option – অনেকগুলো পছ্ন্দ থেকে ১টিকে বাছাই করা । ধর একসাথে ৩ টি মেয়ের উপর ক্র্যাশ তোমার । কোনটা রেখে কোনটাকে গার্লফ্রেন্ডর বানাবে, এই যে ব্যাপারটা, এইটাই অপশন । তোমার এখন ৩টি অপশন আছে । তুমি তিনটিই রাখতে পার, আবার ১টি বা ২টি ও রাখতে পার (একাধিন না রাখাই ভাল)!
Translation from: UX for Beginners